scorecardresearch
 

Mohammedan Sporting Club: মহামেডানে ইনভেস্টর আদৌ থাকবে? দীপেন্দু বলছেন, 'আলোচনায় সমাধান হবে'

গত মরশুমে একটিও বড় ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি মহামেডান। ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) তুলনামূলক ভালো খেলেও, জয় পায়নি তারা। তারপর আই লিগেও (I-League) হতশ্রী পারফরম্যান্স, লিগ টেবিলের অনেকটাই নীচে শেষ করে মহামেডান।

Advertisement
মহামেডান ক্লাব মহামেডান ক্লাব

বিপাকে মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting Club)। তবে এবার মাঠের ভিতরে না, বাইরে। ইনভেস্টর ইস্যু নিয়ে আবার সরগরম কলকাতা ময়দান। বিষয়টিতে মুখ খুললেন সাদাকালো ব্রিগেডের কর্তারা।

গত মরশুমে একটিও বড় ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি মহামেডান। ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) তুলনামূলক ভালো খেলেও, জয় পায়নি তারা। তারপর আই লিগেও (I-League) হতশ্রী পারফরম্যান্স, লিগ টেবিলের অনেকটাই নীচে শেষ করে মহামেডান। অন্যদিকে, যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে গোকুলাম কেরল এফসি-র (Gokulam Kerala FC) কাছে হেরে সুপার কাপে (Super Cup) খেলার সুযোগই পায়নি ময়দানের এই তিন প্রধানের এক প্রধান। তবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের (RFDL) পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছেছে মহামেডানের ছোটরা। এছাড়াও মহিলাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, “উইমেন্স টি-২০ ব্লাস্ট” চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সেইসঙ্গে, পুরুষদের সিনিয়র ক্রিকেট দল দুরন্ত পারফর্ম করে এবং সিএবি সুপার ডিভিশনে (CAB Super Division) কোয়ালিফাইও করে। কিন্তু ইনভেস্টরের সঙ্গে সংঘাতের জেরে, এবার সম্ভবত সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পথে। 

আরও পড়ুন: Super Cup 2023: সুপার কাপে মহমেডানের বিদায়, এবার নজরে মোহনবাগানের ম্যাচ

এইমুহূর্তে বাঙ্কারহিল (Bunkerhill) হল মহামেডানের প্রধান ইনভেস্টর। এমনকি বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং (Deepak Kumar Singh) নিজেও একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, তা তিনি নিজেও অনেকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এবার তাল কাটল, ক্লাব এবং ইনভেস্টর সংঘাত প্রকাশ্যে। গতকাল বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং bangla.aajtak.in-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, তারা ক্লাবের উন্নতির জন্যই বরাবর কাজ করতে চেয়েছেন। কিন্তু ক্লাব কর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই একমত হতে পারেননি তারা। ফলে দূরত্ব বাড়ছিল ক্রমশই। যদিও ক্লাব এবং ইনভেস্টরের মধ্যে এটিই চুক্তির শেষ বছর। কিন্তু সম্ভবত তার আগেই ক্লাব ছাড়তে পারেন তারা, এমনই ইঙ্গিত দিলেন দীপক কুমার সিং। সামনেই ইদ, আর এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। তাই এখনই সরকারি ঘোষণা করার পথে হাঁটতে নারাজ ইনভেস্টররা। রমজান মাসের পর ইদ। উৎসবের আবহ কাটলেই, সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারিভাবে জানানো হতে পারে এই সিদ্ধান্ত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, এই দীপক কুমার সিং নিজে মহামেডান ক্লাবের ক্রিকেট সেক্রেটারি পদেও রয়েছেন।   

Advertisement

এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন ক্লাব কর্তারা। ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas) এবং ক্লাব কর্তা বিলাল খানের (Belal Khan) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'। প্রাক্তন ফুটবলার এবং ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'ক্লাবের সচিব এবং সভাপতি সহ সবাই মিলে আমরা বৈঠকে বসব এবং তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবো। সম্ভবত দু-একদিনের মধ্যেই হয়ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারি, আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয়ই সমস্যার সমাধান হতে পারে।'

অন্যদিকে, সাদাকালো ব্রিগেডের অপর কর্তা বিলাল খান bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। ক্লাবের তরফ থেকে বৈঠক ডাকা হবে এবং সেখানে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ক্লাবের সভাপতি এবং সচিব সহ যারা উচ্চপদে রয়েছেন তাঁরাই সবটা বলবেন।' 

অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে ক্লাব এবং ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব যে একেবারে প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে এই ক্লাব বনাম ইনভেস্টর লড়াই কলকাতা ময়দানে এই প্রথম নয়। এর আগে আমরা ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ক্ষেত্রেও এইরকম পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছি। লাল হলুদের সঙ্গে কোয়েস (Quess) এবং শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) দ্বন্দ্ব নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। ঝামেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, আসরে নামতে হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)। ইস্টবেঙ্গলে এখন নতুন ইনভেস্টর, ইমামি (Emami)। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas) জানান, মুখ্যমন্ত্রী একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং তিনি সমস্ত ক্লাবের পাশে থাকেন। কিন্তু সবকিছুর পরেও, কলকাতা ময়দানে যেন ইনভেস্টর সমস্যা মিটছেই না। 

এখন দেখার বিষয় এটাই যে, মহামেডান ক্লাব বনাম ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের মধ্যে সম্পর্ক শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। 

প্রতিবেদক: শুভঙ্কর দাস

Advertisement